**গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি: বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড**
ঢাকা, ৮ জুলাই ২০২৪ – গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত। বিশ্বব্যাপী পোশাক রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ একটি প্রধান উৎস। এ খাত দেশের জিডিপির উল্লেখযোগ্য অংশ, বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম উৎস এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি থেকে বাংলাদেশের বার্ষিক রপ্তানি আয় প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশেরও বেশি। এই শিল্পে বর্তমানে প্রায় ৪০ লাখ কর্মী কাজ করছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই নারী। এর ফলে নারীর ক্ষমতায়ন ও গ্রামীণ উন্নয়নে গার্মেন্টস খাতের অবদান অনস্বীকার্য।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এর সভাপতি, ফারুক হাসান বলেন, "গার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশের জন্য শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, সামাজিক পরিবর্তনও বয়ে এনেছে। আমরা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছি।"
তবে, গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। যেমন, কর্মীদের নিরাপত্তা, ন্যায্য মজুরি, শ্রম অধিকার এবং পরিবেশগত প্রভাব। বিজিএমইএ এবং সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, অধিকাংশ কারখানা এখন আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনবিশ্বব্যাপী মহামারি কোভিড-১৯ এর পরেও গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি দ্রুত পুনরুদ্ধার করেছে। ইউরোপ এবং আমেরিকার বাজারে বাংলাদেশের পোশাকের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া নতুন বাজারে প্রবেশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, যেমন জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া।
গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশের উন্নয়নের এক অনন্য প্রতীক। এটি দেশের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান এবং সামাজিক পরিবর্তনে বিশাল অবদান রেখে চলেছে। দেশের উন্নয়নে এ খাতের অবদান ভবিষ্যতেও অপরিসীম থাকবে বলে আশা করা যায়।
0 Comments