Hot Posts

6/recent/ticker-posts

সাভার ইপিজেড (Export Processing Zone) নির্মাণ করা হয়েছিল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিল্পায়ন এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করার লক্ষ্যে। এর পেছনে প্রধান কারণসমূহ হলো:

 


সাভার ইপিজেড (Export Processing Zone) নির্মাণ করা হয়েছিল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিল্পায়ন এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করার লক্ষ্যে। এর পেছনে প্রধান কারণসমূহ হলো:

1. **বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ**: সাভার ইপিজেড তৈরির মূল উদ্দেশ্য ছিল বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় পরিবেশ সৃষ্টি করা, যেখানে তারা সহজেই ব্যবসা করতে পারে। এটি বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।


2. **শিল্পায়ন**: ইপিজেড-এর মাধ্যমে দেশে নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে তোলা যায়, যা দেশের শিল্প খাতকে প্রসারিত করতে সহায়তা করে। শিল্পায়নের ফলে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পায়, যা দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


3. **রপ্তানি বৃদ্ধি**: সাভার ইপিজেড-এর অন্যতম লক্ষ্য ছিল রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করা। ইপিজেড-এর মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য সরাসরি রপ্তানির জন্য সহজতর হয়, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।


4. **আধুনিক প্রযুক্তি এবং জ্ঞান স্থানান্তর**: বৈদেশিক বিনিয়োগের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি এবং ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা দেশের শিল্প খাতে স্থানান্তরিত হয়। এটি দেশের প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং প্রতিযোগিতামূলক শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।


5. **অবকাঠামো উন্নয়ন**: ইপিজেড-এর কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবকাঠামো যেমন রাস্তা, বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদির উন্নয়ন হয়। এই উন্নয়ন শুধুমাত্র ইপিজেড-এর জন্য নয়, আশেপাশের এলাকার জন্যও সুফল বয়ে আনে।


সাভার ইপিজেড-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত হওয়ার পাশাপাশি বৈদেশিক বাণিজ্যের দিগন্ত প্রসারিত হয়েছে। এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি প্রধান মাধ্যম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন 


Post a Comment

0 Comments