মানুষের মন মানসিকতা সব সময় এক রকম থাকে না। সেক্স বিষয়টাকে আপনি খারাপ বলতেই পারেন কিন্তু অস্বীকার করতে পারবেন না।
সৃষ্টির কোন এক লগ্নে বিধাতা শরীর দিয়ে মানব মানবী পাঠিয়েছে। আার তাতে ব্যাপন করেছেন ব্যাক্ষাতীত ভালোবাসা। সেক্স সেই ভালোবাসার ই একটা কদার্য অংশ।
গল্পটা আমার জীবনের বিশ্রীতম অধ্যায়ের।
আমার নাম মুদাশির
তখন আমি নবম শ্রেণিতে পড়ি। কোন মেয়ের সাথেই কথা বলতাম না। কিন্তু ইচ্ছা তো প্রকৃতির নিয়মেই করতো।
তার নাম নিহারিকা।
একদিন আমি এই গল্পের চাঁদ টাকে কল দিই।
খুবই কম কথা বলে কল রেখে দেই। কিন্তু নাগরিক রেসপন্স টা আমার চাওয়ার চেয়ে অনেকটা বেশিই করেছিলো।
আমরা এসএমএস এ কথা বলতে শুরু করি। ভর দুপুর থেকে শুরু করে গভীর রাত,,,,, তখনো আমি খারাপ ভাবে চিন্তা করতে শুরু করি নি,, কথা বলতাম সারাক্ষণ। এই ভাবে ঝগরা ঝাটি,খুনসুটি,আদর, ভালোবাসা নিয়ে গভীর হতে থাকে আমাদের সম্পর্ক। কেটে যায় ৫/৬বছর।
আমি নেহারিকার প্রতি দিন দিন এট্রাক্টেড হতে থাকি।
একদিন হুট করেই খারাপ প্রস্তাব টা দিয়ে বসলাম সে অবাক হয়নি কারন আকর্ষন হওটাটাই স্বাভাবিক।
নেহারিকা আমাকে নানা ভাবে বুঝানোর চেষ্টা করে।
কিন্তু,,,,,,,,আমি শক্ত মানসিকতার মানুষ, মনকে নিয়ন্ত্রণ করা আমার জন্য সহজ কিন্তু দেহের চাহিদা কে আমি হার মানাতে পারি নি।এই শয়তানি শক্তির কাছে মানুষ খুবই দুর্বল। ভালোবাসার মানুষের প্রতি সম্মানটা তখন উবে গিয়েছিল। আমি একটা পশুতে পরিনত হয়।
নিজের শহরে দাপট আছে আমার, জোর আর ব্লাকমেইল করে নাগরিককে রুমে নিতে খুব বেশী কাঠখর পোড়াতে হয়নি আমাকে।
তার চেহাড়াটা ভুত দেখার মত লাগছিলো।তার চোখে ছিল আকুতি-মিনতি
নাহারিকার ভালোবাসার হেরে গিয়েছিল মানুষ রুপি পশুটার কাছে ।
আরো বিস্তারিত বলতে পারতাম, কিন্তু এসবকিছু খেয়াল করার মত মানসিকতা আমার ছিলো না।
আমি ঝাপিয়ে পড়ি তার উপর। এটা আমার ও প্রথম বার ছিলো তারও। কিন্তু আমি নরপিশাচ এর মত নিজের চিন্তায় ই মগ্ন হয়ে গিয়েছিলাম। সেও এতটুকু সময়ের মধ্যে টু শব্দ পর্যন্ত করেনি।তার চোখ বেয়ে জল পড়ছিল অনবরত।
তার প্রচুর ব্রিডিং হচ্ছিল। আমি শান্ত হবার পর তার চোখে তাকিয়েছিলাম কিছুক্ষণ। তারপর আর আমার কিছুই মনে নেই।
ঘটনাটা দুপুরে,, সন্ধ্যায় আমি যখন ঘুম থেকে উঠলাম এক ছোট ভাই এসে বলল ভাবি চলে গেছে। আমি আবার ঘুমিয়ে পড়ি।
আমি যখন চেতনায় ফিরি, পরদিন সকাল ৮টা। অগোছালো বিছানার উপর রক্তে লাল হয়ে যাওয়া সাদা বিছানার চাদর। রুমটা কতটা ভয়ানক দেখাচ্ছিল আমি আপনাদের কে বলে বুঝাতে পারব না৷ আমি ফোন হাতে নিয়ে কল দিলাম প্রিয় নাম্বারে,,,,,,, ওপাশ থেকে যান্ত্রিক কন্ঠে ভেসে আসলো,,,,, এই মুহুর্তে সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। মাথায় কাজ করছে না,,, আমি সোজা বাড়িয়ে যায় তাদের বাড়ির উদ্দ্যেশে।
নক করতেই দরজা খুলেলেন আন্টি,,,,, কাঁদো কাঁদো চেহারা,,,, অন্টি বললেন রুমে আছে। কাল থেকে কিছু খায় নি। চুল কেটে ফেলেছে। কারো সাথে কথা বলছে না।
আমি সেখানে না দাড়িয়ে তার রুমের দিকে এগোতে শুরু করলাম । তার রুমের সামনে যত এগোচ্ছি মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ভয় ততো আমাকে গ্রাস করছে।
সে আমার দিকে তাকালো,,,,তার ছবিটা আমার মনে ভাসছে এখনো,,,তার চেহারায় শুধুমাত্র তীব্র ঘৃণা ছিল আমার জন্য। যে আমাকে প্রাণ ভরে দেখত ঘন্টার পর ঘন্টা তার চোঁখে মুখে আমার জন্য তীব্র ঘৃণা লুকিয়ে আছে আমার জন্য। কখনো আমাকে ঘৃণা ভরা চোখে দেখেনি কখনোই না,,,,,,,তার চোখে আমার জন্য তীব্র ঘৃণা দেখে মোটেও অবাক হইনি আমি।কারণ সে আর আগের মত ছিলো না সেই নিহারিকা আর নেই ।
তার চোখে মুখে কোথাও প্রাণ ছিলো না।
তার কোমর পর্যন্ত রাখা চুল পড়ে আছে ফ্লোরে,,,কাদতে কাদতে মায়াবতি চোখের কোটর বিশ্রী কালো রূপ ধারণ করেছে,,,
চোখ ভয়ংকর লাল , রক্ত জমে গেছে চোখে।তার সামনে দাড়িয়ে থাকার মত সাধ্য আমার ছিলনা ।
বেশি কিছু খেয়াল করার শক্তি ছিলোনা আমার।
নিজের রুমে এসে একটা চাকু নিয়ে হাতে কয়েকটা স্প্লাচ করলাম। ঘটনাটা ১৬ ই জুন। ৩ দিন আগে। তারপর থেকে আমি আর ওর সাথে যোগাযোগ করার সাহস পাইনি। আমি কয়েকবার হাতে স্প্লাচ করেছি। প্রচুর রক্ত ঝড়ে গেছে। ছোট ভাইগুলো খুবই জ্বালাতন করছে। দরজা ভেঙে ২ বার আমাকে হসপিটালে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আর মনে হচ্ছে ২ দিন এর বেশি সারভাইভ করতে পারবো না। দেহ এবং আত্মাকে একসাথে রাখার জন্য যথেষ্ট শক্তি আমার আর বেশিক্ষণ থাকবে না।
বন্ধ হয়ে গেছে বিশ্বাসের দরজাটা মরে গেছে বেঁচে থাকার সম্বল সেই পবিত্র মনটা। নিহারিকা কি আধো বেঁচে আছে নাকি বেঁচে থেকেও মরে গেছে আমরা তা জানিনা।
মুদাসির থামেনি, মুদাসীর হয়তো কখনো থামবেও না। থেমে যাচ্ছে শুধু সেই ভালোবাসার বিশ্বাসটা। বেঁচে থাকার সম্বলটা। যা কখনো বুঝবেনা, আর যারা বুঝে তাদের কাছে নিহারিকা কখনো ধরা দেয় না।
কিছু মেয়েদের কে বলবে কাওকে ভালোবাসার আগে একটু ভেবে দেখো আপনি কি আদেও একজন মানুষকে পছন্দ করেছেন না মানুষ রূপে বহুরূপী ।
নিস্তব্ধ_শহর
#collected
Original link: ⬇️⬇️⬇️
0 Comments