Hot Posts

6/recent/ticker-posts

গিলের সেঞ্চুরি ও মোহিতের বোলিংয়ে মুম্বাইকে বিদায় করে ফাইনালে পান্ডিয়ারা

 


অসাধারণ ফর্মের ধারাবাহিকতায় আরেকটি সেঞ্চুরি উপহার দিলেন শুবমান গিল। তাতে যে উচ্চতায় পৌঁছাল গুজরাট টাইটান্সের রান, তার ধারাকাছে যেতে পারল না মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএলের রেকর্ড চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠল গুজরাট টাইটান্স।

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে শুক্রবার হার্দিক পান্ডিয়ার দলের জয় ৬২ রানে। ২৩৩ রানের রেকর্ড পুঁজি গড়ে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের ১৭১ রানে গুটিয়ে দেয় শিরোপাধারীরা।

চার ইনিংসের মধ্যে তৃতীয় সেঞ্চুরিতে ৬০ বলে ১২৯ রানের ইনিংস খেলে গুজরাটের জয়ের নায়কদের একজন গিল। ১০ ছক্কা ও ৭ চারে গড়া তার ইনিংসটি।

পরে বল হাতে আলো ছড়ান মোহিত শর্মা। এই পেসার ২.২ ওভারে স্রেফ ১০ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট।

আগামী রোববার শিরোপা লড়াইয়ে চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হবে গুজরাট।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে আধা ঘন্টা দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে গুজরাট। পাওয়ার প্লেতে তারা তোলে বিনা উইকেটে ৫০ রান। এরপর ঋদ্ধিমান সাহাকে ফিরিয়ে ৫৩ রানের শুরুর জুটি ভাঙেন পীযুষ চাওলা।

তার আগের ওভারে ২৮ রানে আউট হতে পারতেন গিল, যদি মিড অনে ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারতেন টিম ডেভিড। জীবন পেয়ে সাই সুদর্শনের সঙ্গে বড় জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন গিল।

ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি ৩২ বলে। এরপর তোলেন ঝড়। এলিমিনেটরে ৫ রানে ৫ উইকেট নেওয়া আকাশ মাধওয়ালের একই ওভারে মারেন তিনটি ছক্কা। পরের পঞ্চাশ করতে লাগে স্রেফ ১৭ বল! ৪৯ বলে পূর্ণ করেন টি-টোয়েন্টিতে নিজের পঞ্চম সেঞ্চুরি।

সপ্তদশ ওভারে ক্যাচ দিয়ে থামেন গিল। ভাঙে ৬৪ বলে ১৩৮ রানের জুটি। সুদর্শন রিটায়ার্ড আউট হয়ে ফেরেন ৩১ বলে ৪৩ রান করে। শেষ দিকে পান্ডিয়ার ১৩ বলে অপরাজিত ২৮ রানের ক্যামিওতে প্লে অফে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে গুজরাট। ২০১৪ আসরে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে তখনকার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ২২৬ ছিল আগের সেরা।

রান তাড়ায় প্রথম তিন ওভারের মধ্যে নেহাল ওয়াধেরা ও রোহিত শর্মাকে হারিয়ে বড় ধাক্কা খায় মুম্বাই। এর মাঝে পান্ডিয়ার বলে হাতে আঘাত পেয়ে ক্রিজে ছেড়ে যান গ্রিন। ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পাওয়ায় ব‍্যাটিংয়েই নামতে পারেনি ইশান কিষান।

পাঁচ নম্বরে নেমে ঝড় তোলেন তিলক ভার্মা। মোহাম্মদ শামির এক ওভারে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় তোলেন ২৪ রান। পাওয়ার প্লের পর আক্রমণে এসেই তিলকের ১৪ বলে ৪৩ রানের ইনিংস থামিয়ে দেন রশিদ খান।

গ্রিন পরে আবার ব্যাটিংয়ে নামলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি (২০ বলে ৩০)। মুম্বাইয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন সূর্যকুমার যাদব। ফিফটি তুলে নেন তিনি ৩৩ বলে।

পঞ্চদশ ওভারে আক্রমণে এসে একই ওভারে সূর্যকুমার ও বিষ্ণু বিনোদকে ফিরিয়ে মুম্বাইকে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে দেন মোহিত। নিজের পরের ওভারে তিনি আবার ধরেন জোড়া শিকার। মাঝে রশিদ খান ফিরিয়ে দেন ডেভিডকে।

পরে কুমার কার্তিকেয়াকে ফিরিয়ে ম্যাচের ইতি টেনে দেওয়ার পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথমবার পাঁচ উইকেটের স্বাদ পান মোহিত।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

গুজরাট টাইটান্স: ২০ ওভারে ২৩৩/৩ (ঋদ্ধিমান ১৮, গিল ১২৯, সুদর্শন ৪৩, পান্ডিয়া ২৮*, রশিদ ৫*; বেহরেনডর্ফ ৪-০-২৮-০, গ্রিন ৩-০-৩৫-০, মাধওয়াল ৪-০-৫২-১, জর্ডান ৪-০-৫৬-০, চাওলা ৩-০-৪৫-১, কার্তিকেয়া ২-০-১৫-০)

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স: ১৮.২ ওভারে ১৭১ (রোহিত ৮, ওয়াধেরা ৪, গ্রিন ৩০, সূর্যকুমার ৪৩, তিলক ৪৩, বিনোদ ৫, ডেভিড ২, জর্ডান ২, চাওলা ০, কার্তিকেয়া ৬, বেহরেনডর্ফ ৩*; শামি ৩-০-৪১-২, পান্ডিয়া ২-০-২৪-০, রশিদ ৪-০-৩৩-২, নূর ৪-০-৩৫-০, লিটল ৩-০-২৬-১, মোহিত ২.২-০-১০-৫)

ফল: গুজরাট টাইটান্স ৬২ রানে জয়ী

Post a Comment

0 Comments